সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলায় ফেসবুকে সমালোচনার মুখে শমী কায়সার
ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মার্টফোন চুরি যাওয়ায় প্রায় অর্ধশত সংবাদকর্মীকে আধঘণ্টারও বেশি আটকে রাখলেন অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। এমনকি তার নিরাপত্তাকর্মী সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশিও করেন। এবং সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শমী কায়সারকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
নানা বয়স ও পেশার মানুষেরা সাংবাদিকদের প্রতি শমী কায়সারের এমন আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তবে ঘুরেফিরে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে একটি স্ট্যাটাস। সেটি হলো একজন বরেণ্য সাংবাদিকের মেয়ে হয়েও শমী কেমন করে সাংবাদিকদের অপদস্ত করলেন কীভাবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও কলামিস্ট পীর হাবীব ফেসবুকে লিখেছেন, শমী কায়সারকে সাংবাদিক সমাজের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেই হবে, নয় তাকে বয়কট করতে হবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী তার ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন ‘ছি, ছি! শমী কায়সার, আপনার ধৃষ্টতা দেখে লজ্জিত!
এদিকে বুধবার রাতে বেসরকারি টিলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে শমী কায়সার সমস্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং তিনি ক্ষমাও প্রার্থনা করেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে প্রায় অর্ধশত ফটো ও ভিডিও ক্যামেরা এবং শতাধিক মানুষের সামনে চুরি হয় শমী কায়সারের স্মার্টফোন দু’টি। ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র উদ্বোধনকালে বক্তব্য দেন শমী। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দু’টি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দু’টিতে কল দিয়ে তখনও সচল পাচ্ছিলেন তিনি।
শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শমীর নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। তখন কেউ কেউ তল্লাশিসাপেক্ষে বের হতে চাইলে সেই নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এসময় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় সাংবাদিকদের।
পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দু’টি নিয়ে গেছেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।