দেশে ফিরেই শোকে স্তব্ধ শেখ সেলিমকে সান্ত্বনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা: সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফর শেষ করে ব্রুনাই থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমান থেকে নেমেই শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নাতিকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ শেখ সেলিম এমপিকে প্রধানমন্ত্রী সান্ত্বনা দেন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীর নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তার বনানীর বাড়িতেই থাকতো আদরের জায়ান। এখান থেকেই সে বাবা-মা-ভাইয়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলো দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায়। জায়ানের মৃত্যুতে পুরো শেখ পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত ২১ এপ্রিল তিন দিনের সরকারি সফরে ব্রুনাই পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সফরে তিনি ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা, বাংলাদেশ-ব্রুনাই বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান, জামে আসর মসজিদ পরিদর্শন এবং সেখানে আছরের নামাজ আদায়সহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি তার সম্মানে ব্রুনাই সুলতানের দেওয়া এক ভোজসভায় অংশ নেন। সফরের প্রথম দিন তিনি ব্রুনাইতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সংবর্ধনায় যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে ব্রুনাইর সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি বিনিময় নোট। এগুলো হচ্ছে, কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, পশুসম্পদ ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, সাংস্কৃতিক ও শিল্প সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসার ছাড় সংক্রান্ত বিনিময় নোট।