এরশাদের সম্পত্তি ট্রাস্টে: খুশি বিদিশা, ক্ষুব্ধ রওশন

319

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি নিজের ট্রাস্টে দান করে দিয়েছেন। আর এ নিয়েই এরশাদ পরিবারে লংকাকাণ্ড ঘটে গেছে। তবে সব সম্পত্তি ট্রাস্টে উইল করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এরশাদের সহধর্মিনী জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ। তবে বেজায় খুশী সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এরশাদ-বিদিশা দম্পতির পুত্র এরিক এরশাদ এই ট্রাস্টের সদস্য। সেখানে এরশাদ-রওশন দম্পতির পুত্র সাদ এরশাদ নেই।

গত রবিবার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় এরশাদ তার ব্যক্তিগত আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের ব্যবস্থাপনায় সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নিয়ে ট্রাস্ট গঠন করেন। এর ট্রাস্টি বোর্ডে এরশাদসহ পাঁচজন রয়েছেন। অন্যরা হলেন, এরিক এরশাদ, এরশাদের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তবে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদের নেই ট্রাস্টে।সূত্র জানায়, এরশাদ-রওশন দম্পত্তির পালিত পুত্র শাদ এরশাদও ট্রাস্টে না থাকায় ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বেগম রওশন এরশাদ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, অন্যদের ট্রাস্টে রাখা হয়েছে অথচ বউ, ভাই এমনকি বড় পুত্র সাদকে ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তার মতে এটি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে করা হয়েছে।

এরশাদ পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু  জানান, সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসা, গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট, বাংলামোটরের দোকান, রংপুরের কোল্ড স্টোরেজ, পল্লী নিবাস, রংপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়, ব্যাংকে ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট।

Leave A Reply

Your email address will not be published.