পাসপোর্টের প্রবর্তন হয়েছে যেভাবে

398

নিউজ ডেস্ক: পৃথিবী ঘুরে দেখার বাসনা আমাদের সবার মনেই থাকে। কিন্তু যে জিনিসটা না থাকলে দেশের গণ্ডিই পেড়োনো যাবে না সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট।

রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো পাসপোর্টও প্রমাণ করে যে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক। এছাড়া পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় গুরুত্ব এই যে এটি বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। আপনি যদি বৈধভাবে যে কোনো দেশে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্ট লাগবেই।

আমরা অনেকেই জানিনা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে গেলে যে পাসপোর্ট লাগে সেটার প্রবর্তন হলো কিভাবে? আজ জুমবাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো কিভাবে পাসপোর্ট চালু হয়েছে তার বিবরণ- 

মধ্যযুগে বিদেশি পর্যটক বা পরিব্রাজকেরা ইউরোপের দেশগুলোর কোনো শহর বা নগরে প্রবেশ করতে চাইলে নগর কর্তৃপক্ষ তাঁদের শনাক্ত করার জন্য গেটপাস দিত। আর পাসপোর্টের প্রথম ধারণা পাওয়া যায় ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম হেনরির সময়ে। তাঁর সময়ে ১৫৪০ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আইন হয় এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। এরপর ১৭৯৪ সালে তারা সরকারি চাকুরেদের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করে।

পাসপোর্টের ইতিহাস থেকে জানা যায়, জাপানে নাগরিকদের জন্য প্রথম পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় ১৮৬৬ সালে। এরপর ১৮৯৮ সালে চীনে এবং ১৯০০ সালে অটোমান সাম্রাজ্যে পাসপোর্টের প্রচলন শুরু হয়।

তবে আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক পাসপোর্টের ধারণা শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে। মূলত, দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এর ওপর জোর দেয়। তখন প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের (লিগ অব ন্যাশনস) বৈঠকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কাগজের তৈরি পাসপোর্ট এবং আনুষঙ্গিক অন্য নিয়মকানুন চালু করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.