সুখবর : জুন থেকে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

318

নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জুন মাসে ডিজিটাল পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকরা। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অভিদফতর সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ বছরের জন্য ই-পাসপোর্ট পাবে দেশবাসী।

পাসপোর্ট অধিদফতর জানায়, শুরুতে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট জার্মানি থেকে প্রিন্ট করিয়ে সরবরাহ করা হবে। এরপর আরও ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে ওই কারখানায় থেকেই পাসপোর্ট ছাপানো অব্যাহত রাখা হবে।

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, এখনও কাজ চলছে। যত শিগগিরই সম্ভব ই-পাসপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি। কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা এ বছরের জুন মাসকে টার্গেট করে কাজ করছি।

গত বছরের ১৯ জুলাই ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করতে জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। সেদিন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছাবে ই-পাসপোর্ট। পরে বলা হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে ই-পাসপোর্ট দেশে আসতে পারে।

কেমন হবে ই-পাসপোর্ট
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে না। তবে কারও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাঁকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে।

বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে ‘পাবলিক কি ডাইরেকটরি’তে (পিকেডি)। আন্তর্জাতিক এই তথ্যভান্ডার পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)। ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্যভান্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারে।

ই-পাসপোর্টের বাহক কোনো দেশের দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনকারীর তথ্যের সঙ্গে পিকেডিতে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে নেবে এবং আবেদন গ্রহণ করে বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার কিংবা বাতিল করে সিল দেবে। স্থল ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও একই পদ্ধতিতে পিকেডিতে ঢুকে ই-পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করবে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য দেশের প্রতিটি বিমান ও স্থলবন্দরে চাহিদামোতাবেক ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে। যাঁদের হাতে ই-পাসপোর্ট থাকবে, তাঁদের এই গেট দিয়ে সীমান্ত পার হতে হবে। তবে যাঁদের হাতে এমআরপি পাসপোর্ট থাকবে, তাঁদের ইমিগ্রেশনের কাজ বিদ্যমান পদ্ধতিতে চলমান থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.