চট্টগ্রামে মহিউদ্দিনকে স্মরণ করে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী, নওফেলের চোখে জল

333

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথমবারের মতো টানেল নির্মাণ এবং লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে রবিবার সোয়া ১২টার দিকে পতেঙ্গায় সুধী সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বক্তৃতার শুরুতেই টানেল নির্মাণের দাবিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, আমাদের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, যিনি চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন তিনি টানেল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনও করেছিলেন। কারণ নদীর উপর ঘন ঘন ব্রিজ হলে পরে নদীর ক্ষতি হবে। আর টানেল করতে পারলে পরে নদীর ক্ষতিটা হবে না-এটাই ছিল তার যুক্তি এবং এটা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যুক্তি। আজকের দিনে আমি মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা স্মরণ করছি। বেঁচে থাকলে তিনিই আজ সব থেকে বেশি আনন্দিত হতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবসময় আন্দোলন-সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কিন্তু আজকে তিনি দেখে যেতে পারলেন না। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখজনক।

মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই স্মৃতিচারণের সময় দফায় দফায় করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে সুধী সমাবেশ প্রাঙ্গণ।

প্রধানমন্ত্রীর মুখে যখন বাবার কীর্তির গল্প, উচ্ছ্বসিত প্রশংসা তখন মহিউদ্দিন-পুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর চোখে লোনাজল জল। আবেগাপ্লুত হয়ে বারবার তিনি চোখের জল মুছছিলেন। সমাবেশস্থলের সবার দৃষ্টি তখন নওফেলের প্রতি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.