সংসদে না এলে বিএনপির নাম মুছে যাবে : সরকারি দল
ঢাকা: রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বিএনপি এমপিদের সংসদে আসার আহবান জানিয়ে বলেছেন, সংসদে না আসলে দলটির নাম মুছে যাবে।
এর আগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন। খবর বাসসের।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ দ্বিতীয় দিনে সরকারি দলের সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাইফুজ্জামান শিখর, আবু জাহির ও জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে দেশের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতি তুলে ধরেছেন। তিনি ভাষণে সরকারের বিগত ১০ বছরে সর্বক্ষেত্রে সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেছেন।
মো. সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, রাষ্ট্রপতি সরকারের আমলের বিষ্ময়কর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছেন। এর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিষয়ে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশের মানুষের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ এসেছে। দেশে কোন অভাব নেই, দারিদ্র্য দূর হয়েছে, মানুষের মধ্যে হাহাকার নেই। দেশের মানুষ কোথাও অনাহারে নেই। দেশ সন্ত্রাস, দুর্নীতি মুক্ত হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে।
এডভোকেট আবু জাহির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশের মানুষ এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিএনপি যদি সংসদে না আসে তাহলে রাজনীতি থেকে চিরদিনের মতো তাদেরকে বিদায় নিতে হবে। তারা যে ৭টি আসন পেয়েছে এটাই ঠিক আছে, এরচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার কথা নয়। কারণ বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করার নামে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে শতশত মানুষ হত্যা করেছে। পাশাপাশি বিগত ৫ বছর তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এজন্য জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলের সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কাজের মাধ্যমে এখন জাতীয় নেতা থেকে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি এখন পুরো বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে মানুষ উন্নয়ন ও শান্তির পক্ষে ভোট দিয়েছে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমার আসনে বিএনপি যাকে মনোনয়ন দিয়েছিল, তিনি কমিশনার হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। বিএনপির লোকজনও তাকে ভোট দেয়নি। বিএনপি জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে, এরই প্রতিফলন ঘটেছে এবারের নির্বাচনে।