আকাশের মৃত্যুতে নতুন মোড়

408

নিউজ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রী মিতুকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন চট্টগ্রামের তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আকাশ নগরীর চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পূর্বে ভোর ৪টা ৫২ মিনিটে ভালোবাসার আবেগ জড়িয়ে, স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে একটি ছবি শেয়ার করে।

আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে ও তার বাবা-মা, এক বোন ও দুই প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় মৃত আকাশের মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আকাশের ফেসবুক স্ট্যাটাসে থাকা তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্ত্রী মিতুকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নগরের নন্দনকানন এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বামীর অভিযোগের কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন, আর কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।’

আকাশ-মিতুর দাম্পত্য জীবনের কলহের কথা জানালেন মিতুর বোন আফসানা হক চৌধুরী। তিনি আকাশ-মিতুর দাম্পত্য জীবনের অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরে শুক্রবার নিজের ফেসুবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাস দেন।

মিতুর ছোট বোনের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলো-

‘কিছু ফটোশপ স্ক্রিনশট দিয়েই কি একটা কাহিনীর সবদিক বুঝা যায়, একটা ৯ বছরের সম্পর্ক কি একটা সুইসাইড নোট দিয়েই বর্ণনা করা যায়? কাহিনীটা শুরু করি মিতুকে দিয়েই। মিতু স্কুল-কলেজের উজ্জ্বল শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বন্ধু-বান্ধব ক্লাসমেট সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। একজন চিকিৎসক যার স্বপ্ন দেশের দরিদ্র মানুষের সেবা করে যাওয়া। সহজ-সরল, চঞ্চল, খুব সহজেই সবার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ফেলতে পারে, মনের কথা যাই থাকে মুখে তাই-ই বলে এবং সবচেয়ে বড় কথা, নিজের পরিবারের সবার কাছে একজন আইডল মিতু।

সে (মিতু) হয়ত জানতো না, তার এই সহজ-সরল স্বভাবই একসময় তার ও তার স্বামীর মধ্যেই দেয়াল তৈরি করবে। সরল-মনা মিতু কখনো ভাবতে পারেনাই যে এই বন্ধুবৎসল মনোভাবই তার স্বামীর মনে সন্দেহের বীজ বপন করবে।

২০১০ সালে আকাশের সাথে সম্পর্ক শুরু কিন্তু কিছুদিন পরেই আকাশের মেজাজের সাথে যখন মিতুর চঞ্চল স্বভাবের সাথে মিলে উঠতে পারছিলনা। তখন মিতু অনেকবারই চেয়েছে সম্পর্কটা শেষ করার। কিন্তু আকাশ তার মান-সম্মান নষ্ট হবে, মানুষ কি বলবে, সেটা ভেবে মিতুকে যেতে দিলনা।

প্রতিবারই ভুলিয়ে-ভালিয়ে মিতুকে আটকে রাখতো। সম্পর্কের ৬ বছর হয়ে গেল, সাথে ঘটল অনেক সন্দেহের খেলা, তবুও ২০১৬ সালে বিয়ে হল কিন্তু বিয়ের কিছুদিন আগেও মিতু সম্পর্ক রাখতে চায়নি।

কারণ সে বুঝেছিল যে আকাশের সাথে তার মনের মিল হচ্ছিল না। সে এইটাকে খারাপ কিছু কখনো মনে করেনি।

কারণ সে জানত যে দুইজন মানুষের মনে অমিল থাকতেই পারে। কিন্তু আকাশ এই মনের অমিলকেও সন্দেহের আওতায় ফেলল এবং আবারও নিজের চট্টগ্রামের শিক্ষক হিসেবে মান-সম্মানের জন্য মিতুকে আটকে রাখল।

বিয়ে হল, আকাশ হয়ে গেল মিতুর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। মিতুর বাবা-মা কখনোই আকাশকে নিজের ছেলের থেকে কম কিছু হিসেবে দেখেননি। মিতুর দুই বোন আকাশকে ভাইয়ের থেকেও বড় চোখে দেখত। আকাশের প্রতিটা সাফল্যে তাদের কি গর্ব ছিল সেই ব্যাপারে আশেপাশের মানুষ ভালভাবেই জানতো।

আকাশও কখনো কোন কিছুতে কমতি রাখতনা, নিজের বাবা-মা আর আপন বোনের মতই দেখত। মিতু আর আকাশের ভালবাসার কমতি ছিলনা। ফেসবুকে ওদের পোস্ট দেখলে সেটা যে কেউ ভালোভাবেই বুঝবে। কিন্তু আকাশের বদমেজাজের কারণে মিতুর হাতে, গালে কখনো যে দাগ পড়ত, সেটা কাউকে বুঝতে দিতনা।

সে ভাবত, হাজার হোক ভালবাসার মানুষ, কিছুদিন পরে ঠিক হয়েই তো যাবে। ঠিক হয়ে যেত, কিন্তু আবার যে একই চক্র শুরু হত, সেটাও মিতু কাউকে বুঝতে দিত না।’

মিতুর পরিবার ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসে। মিতু কুমিল্লা মেডিকেলে পড়াশুনা এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইন্টার্নশিপ শেষ না করা পর্যন্ত পরিবার থেকে আলাদাই থেকেছে। শুধু এইটা ভেবে, সে যদি চিকিৎসক হয়, তাহলে দেশের অল্প কিছু হলেও দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করতে পারবে।

আকাশের সাথে বিয়ে হবার পরও সে যুক্তরাষ্ট্রে অল্প কিছুদিনের জন্যে যাওয়া-আসা করত। আকাশের ইমিগ্রেশন প্রসেসিং চলছিল, যেটা এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হবার কথা।

মিতু ইউএসএমএলির জন্যে প্রাণপণ পড়ছিল এবং পাশাপাশি ভালবাসার মানুষ আকাশের সাথেও থাকতে চাচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে আসার দুই দিন পরেই সে আকাশের কাছে ফেরত যেতে চাচ্ছিল। আকাশ একলা থাকছে, আকাশ ওকে মিস করছে— সে এইসবের কারণে বার বার দেশে চলে যেত।

এইভাবে আসা-যাওয়ার কারণে তার পড়াশুনার মধ্যে গ্যাপ পড়ে যেত, ইউএসএমএলির জন্যে প্রস্তুতিও পিছিয়ে যেত কিন্তু এসবকে আকাশ কেন যেন মিতুর ব্যর্থতা হিসেবেই প্রমাণ করতে চাইত।

এই বছরের জানুয়ারির শুরু থেকেই আকাশের মাথায় নতুন একটি সন্দেহের বীজ বপন হয় এবং মিতু যখন ইউএসএমএলির জন্যে মোটামুটি প্রস্তুত, তখন সে মিতুকে জোরপূর্বক দেশে ফিরতে বলে।

মিতুও বাধ্য স্ত্রীর মতো একটুও শব্দ না করে স্বামীর কথা মেনে দেশে চলে গেল এই আশায়, স্বামীর মাথা থেকে সন্দেহের বীজটা দূর করতে পারবে কিন্তু মিতু কখনো ভাবেনি সে আকাশের এমনরূপ দেখবে, যেটা সে গত ৯ বছরে দেখেনি।

মানসিক অত্যাচার মেয়েটাকে একটু একটু করে ক্ষয়ে দিচ্ছিল, সেটা তার পরিবার একটু একটু করে আঁচ করা শুরু করল। মিতু আর আকাশের কলহ এমন পর্যায়ে চলে গেল- যখন মিতু বুঝতে পারছিল যে সম্পর্ক নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

মিতু আকাশকে বলেছিল দেশে থাকলে সম্পর্কের অবনতিই কেবল হচ্ছে। তাই সে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাক। বিশেষত যেখানে আকাশের যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন প্রসেসিংয়ের কাজ পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আকাশ মিতুর পাসপোর্ট এবং গ্রিন কার্ড লুকিয়ে ফেলল।

মিতু তাও কিছু বলল না, ভাবলো একটু সময় দিলেই হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে। এসব ঝগড়া চলার সময় আকাশ আর মিতু বেশিরভাগ সময় মিতুর বাসাতেই থাকত।

জানুয়ারির ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় আকাশের মা যখন আসলেন মিতুকে বাসায় নিয়ে যেতে, তখন মিতুর মা-বাবা ভাবলেন সব হয়তো এখন ঠিক হয়েই যাবে। কিন্তু এসবের মধ্যে তারা আকাশের বদমেজাজের কথা ভুলেই বসছিল।

৩০ জানুয়ারির মধ্যরাত আকাশ মিতুকে পেটাচ্ছে, বেদম পেটাচ্ছে, মিতুর ঠোঁট ফেটে গেল, আকাশ মিতুকে লাথি মেরে তার শরীর থেতলা করে দিল, এরপরে ছুরি দেখিয়ে, মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে এমন বক্তব্য নিল, যেটা সবাই ‘আত্মসমর্পণ’ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে যাচ্ছে।

আকাশ মিতুর হাত কেটে ফেলতে চেয়েছিল। আকাশ রাত ৩টায় মিতুর বাবাকে ফোন করে রক্তাক্ত মিতুকে নিয়ে যেতে বলল। মেয়েকে বাবার হাতে তুলে দেয়ার আগে মিতুর শ্বাশুড়ি খুব যত্ন নিয়ে রক্তগুলা মুছে দিলেন।

মিতুর বাবা মেয়েকে নিয়ে চলে গেলেন এবং আকাশের সাথে কথা হলো- পরদিন আকাশের সাথে ডিভোর্সের কাগজপত্র সব ঠিক করা হবে।

আকাশ দেখল, তার এতদিনের যে ভয় সেটা সত্য হতে যাচ্ছে। সে বলত, তার পরিবারের কাছে সে আইডল, তার যদি এতদিনের সম্পর্ক ভাঙ্গে তাহলে এইটা নিয়ে সবাই হাসাহাসি করবে। তার উপরে যোগ হল মিতুকে রক্তাক্ত করার অপমানবোধ।

মিতু নারী নির্যাতন মামলা করবে, আকাশকে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে— এই ভয় আকাশ সহ্য করতে পারছিল না। যদিও মিতু বলেছে, সে নারী নির্যাতন মামলা করবেনা। কারণ ‘আকাশের মেজাজ গরম ছিল বলে এমন করছে, কিছুদিন পরে ঠিক হয়ে যাবে।’

কিন্তু আকাশের কাছে যে তার জেদ অনেক বড় জিনিস সেটা মিতু ভুলে গিয়েছিল। মিতু তার বাসায় চলে আসার ঘন্টাখানেক পর জানতে পারল আকাশ আত্মহত্যার চেষ্টা করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

মিতু কথাটা বিশ্বাস করতে পারছিল না। সে মিলাতে পারছিল না, তার আকাশ এমন কিভাবে করতে পারে। তার কিছুক্ষণ পরে খবর আসল— আকাশ আর নেই!।মিতুর উপরে আকাশটা ভেঙ্গে পড়ল!

এর পরক্ষণে শুরু হল হুমকি। মিতু এবং তার বাবাকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল, তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে। একটি মেয়ে যে তার ভালবাসার মানুষকে একটু আগেই হারিয়েছে, সে কি সেই শোক সামলাবে নাকি তার এবং বাবার জীবন বাঁচাবে, এসবের মধ্যে মিতুর মাথা কোনভাবেই হিসাব মিলাতে পারছিল না। হুমকি এত বেড়ে গেল যে নিজ বাসা ছেড়ে চলে যেতে হলো।

আকাশকে শেষবার দেখার জন্য মিতু এবং তার বাবার বুক ফেটে যাচ্ছিল কিন্তু তাদেরকে দেখলেই যে খুন করে ফেলা হবে!

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাত বছরের প্রেমের সূত্র ধরে তিন বছর আগে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে মিতুর সঙ্গে আকাশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিতু বেশি সময় কাটিয়েছেন মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকায়।

মাঝেমধ্যে মিতু স্বামীর কাছে আসতেন। দেশে আসার পরও মিতু স্বামীর বাসায় নয়, বেশির ভাগ সময় থাকতেন তার বাবার চান্দগাঁও এলাকার বাসায়। মিতুও পেশায় একজন ডাক্তার। ২০১৪ সালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

আকাশ আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দিয়ে মৃত্যুর জন্য স্ত্রী মিতুকে দায়ী করেন এবং বিস্তারিত ঘটনার আবেগঘন বর্ণনা দেন। ফেসবুকে শেষ পোস্ট দেন ভোর ৪টা ৫২ মিনিটে। তাতে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা একটি সেলফি পোস্ট দিয়ে আকাশ লিখেন, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে।

এর প্রায় আধ ঘণ্টা আগে (৪টা ২৬ মিনিটে) কয়েকটি ছবি, সামাজিকমাধ্যমের মেসেজের স্ক্রিনশট ও একটি ভিডিও পোস্ট করেন আকাশ। সেখানে তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত বর্ণনা করেন তিনি। আকাশ লিখেন, ‘আমার সাথে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয়।

প্রচণ্ড ভালবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালবাসে। আমরা ঘুরে বেড়াই, প্রেম করে বেড়াই। আমাদের ভালোবাসা কম বেশি সবাই জানে। অনেকে বউ পাগলাও ডাকত। ২০১৬ সালে আমাদের বিয়ে হয়, বিয়ের কয়েকদিন আগে জানতে পারি কিছুদিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ০৮ ব্যাচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায়,

আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে। ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া শেষ, আমাকে যেহেতু চট্টগ্রামের সবাই চিনে তাই বিয়ে ক্যানসেল করতে পারিনি লজ্জাতে।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজনের সঙ্গে মিতুর ‘শারীরিক সম্পর্কে’র কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইবারে থাকা স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে জানতে পারেন বলে দাবি করেন আকাশ। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হলে মিতু কান্নাকাটি করে ক্ষমা চেয়েছে বলেও ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান আকাশ।

তিনি জানান, এই ঘটনার পর এক বছর ভালোভাবেই সংসার করেন তারা। পরে মিতু যুক্তরাষ্ট্রে যান, এই ফেব্রুয়ারিতে আকাশেরও যাওয়ার কথা। জানুয়ারিতে আকাশ জানতে পারেন, বিদেশে গিয়েও মিতুর অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা। আকাশ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ‘…

আমি বারবার বলছি, আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট করো না, মিথ্যা বলো না। আমার ভালবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল। আমি আর সহ্য করতে পারিনি। আমাদের দেশে তো ভালবাসায় চিটিং-এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চির শান্তির পথ বেঁচে নিলাম।’

‘তোমাদেরও বলছি কাউকে আর ভালো না লাগলে সুন্দরভাবে আলাদা হয়ে যাও, চিট করো না, মিথ্যা বলো না। আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবে না, এত অমায়িক মেয়ে আমিও এসব দেখে ভালোবেসেছিলাম।

ভিতর-বাহির যদি এক হতো। সবাই আমার দোষ দিবে সবকিছুর জন্য তাই ব্যাখ্যা করলাম। আমার শাশুড়ি দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে।

একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে সমাধান হতো। আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে মিতুকে নিয়ে থাকতে।

আমার শ্বশুর আর শাশুড়িকে বারবার বলছি, উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ, যাকে ৯টা বছর যাকে ১০০% ভালোবাসছি। আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেকো। মরার আগে কেউ মিথ্যা বলে না, আর বাইরে থেকে মানুষের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না।

ও সুন্দরী, পড়ায় ভালো, গান পারে সত্য কিন্তু সে ভালো অভিনেত্রী, ভালো চিটার। যাদের ইচ্ছা বিলিভ করবে, আর যাদের ঈচ্ছা নাই করবে না। তবে কাউকে ভালোবেসে চিটারগিরি করো না।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.