‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোথাও কোথাও ভুল-ত্রুটি ছিল’
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে কোথাও কোথাও ভুল-ত্রুটি ও অসুবিধা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি নির্বাচনী এলাকায় আমরা ইভিএম ব্যবহার করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি সেটা কোথাও কোথাও ভুল-ত্রুটি ছিল, অসুবিধা ছিল। সে অসুবিধাগুলো নতুন একটা পদ্ধতি প্রয়োগের সময় এ রকম হতে পারে। একেবারে হতে পারে না এটা আমি বলব না। তবুও আপনাদের সাবধানতা, সতর্কতা যদি বেশি থাকে তাহলে সে রকম ভুল হওয়া উচিত ছিল না।’
আজ বুধবার সকালে আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে আসন্ন ৫ম উপজেলা নির্বাচন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সিইসি আরো বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। ইভিএম আমরা ধারণ করি। ইভিএমের ওপরে আমাদের আস্থা, বিশ্বাসের কথা আপনাদের সামনে আমরা বার বার বলেছি। যত্নসহকারে এর প্রশিক্ষণ নেবেন-দেবেন। ’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম এটা এমন একটা সিস্টেম যে আধাঘণ্টা, এক ঘণ্টার মধ্যে ভোটের ফল জনগণের কাছে তুলে দেব। আমরা সেটি পারিনি। কেন পারিনি সে কারণগুলো নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কী ভুল ছিল সেগুলো শনাক্ত করতে হবে, সংশোধন করতে হবে।’
ইভিএম ব্যবহার করতে পারলে নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়, তার বেশিরভাগ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মনে করেন সিইসি।
এ ছাড়াও সিইসি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাঠামোগত দিক থেকে খুব একটা পার্থক্য নেই। স্থানীয়ভাবে হওয়ায় এই নির্বাচনগুলো আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আমি আবারও আশা করব যেভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, দৃঢ় ছিল, এবারও সেরকম স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও।