ম্পের অভিবাসন-বিরোধী হুমকির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো প্রবাসী বাংলাদেশীরাও

193

নিউইয়র্ক থেকে : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ‘বিল্ডিং ফর মুভমেন্ট উইথ ইলেক্টেড মেম্বার্স’ ব্যনারে নিউইয়র্ক অঞ্চলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সমাবেশ থেকে সমস্বরে উচ্চারণ করেছেন ৬ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনে ব্যালট যুদ্ধে এহেন অ-আমেরিকান কর্মকান্ড রুখে দিতে। ডেমক্র্যাটিক পার্টির সমর্থকরাই মূলত: এই সমাবেশে অংশ নেন এবং ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন।

 

হোস্ট কমিটির পক্ষে পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের পরিচালক ফাহাদ সোলায়মান এবং শ্রম-বিষয়ক এটর্নী ইথেন ফেল্ডার। নিউইয়র্ক বোর্ড অব ইলেকশনের কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার সংগঠক মাজেদা এ উদ্দিনের সার্বিক তত্তাবধানে এ অনুষ্ঠানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসপ্রার্থী আলেক্সান্দ্রিয়া অকাসিয়া-করটেজ, ম্যাক্স রোজ, টম সুয়োজি এবং পেরী গারসন, স্টেট সিনেট প্রার্থী জেসিকা র‌্যামোজ, জন ল্যু, আলেসান্দ্রা বিয়োগি এবং জুলিয়া সালাজার, স্টেট এ্যাসেম্বলী প্রার্থী ক্যাটালিনা ক্রুজ, ক্যারিন্স রীইজ এবং ড. ফন্টাস। এছাড়াও ছিলেন কয়েকজন সিটি কাউন্সিলম্যান । বাংলাদেশী আমেরিকানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মূলধারার ব্যবসায়ী ও হোস্ট কমিটির নেতা আকতার হোসেন বাদল, আইটি ইন্সটিটিউট ‘পিপল এন টেক’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান প্রকৌশলী আবু হানিপ, মূলধারার সংগঠক ফখরুল আলম, ফোবানার নির্বাহী মহাসচিব জাকারিয়া চৌধুরী, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট শাহি শহীদুল হক, এটর্নী সোমা সাঈদ, মিজান রহমান, জয় চৌধুরী প্রমুখ।

সীমান্তে সেনাবাহিনী নিয়োগ, দুর্গম পথে সীমান্ত রক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশকারিদের এসাইলাম নিষিদ্ধ এবং অবৈধভাবে বসবাসরতদের সন্তানকে সিটিজেনশিপ প্রদানের বিধি বাতিল করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয় এ সমাবেশ থেকে। কারণ, এসব বিধির ওপর ভর করেই আমেরিকা আজকের অবস্থানে উঠেছে। আমেরিকার সংবিধান প্রদত্ত অধিকার কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, ট্রাম্পের গণবিরোধী এবং অভিবাসন বিরোধী সকল ও কর্মকান্ড রুখে দিতে ৬ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমক্র্যাটদের বিশাল বিজয় দিতে হবে। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে যদি ডেমক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে সক্ষম হয় তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে আমেরিকার চেতনার পরিপন্থি কোনকিছুই করা সম্ভব হবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.