‘মইনুল হোসেনই তারেক রহমানকে যাওয়ার সুযোগ দেয়’
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশ থেকে বিদেশে পালিয়ে যেতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার (২৭ অক্টোবর), ‘২১ শে আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান-ভবিষ্যৎ’বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এমন অভিযোগ করেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চেষ্টা হচ্ছে বিএনপিকে বাঁচিয়ে দেয়া বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘২১ শে আগস্ট : বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান-ভবিষ্যৎ’বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এমন অভিযোগ করেন।
জয় বলেন, জিয়াউর রহমান যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ঐক্যফ্রন্টের চেষ্টা হচ্ছে বিএনপিকে বাঁচিয়ে দেয়া এবং রিহ্যাবিলেট করা। এই সুশীলরা এখন ঐক্য করেছে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকারী তারেক রহমান, তাকে কী আমরা ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই? আমাদের সুশীলরা তো মনে হচ্ছে সেটাই চায়। না, সেটা আমরা হতে দিব না। বাংলার মানুষ যতদিন আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে যাবে এ রকম জঙ্গি ও খুনি দলের স্থান বাংলাদেশে হবে না। এদের বিচার হতে থাকবে। তারেক রহমানকেও আমরা দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা দেব। এটা আমাদের ওয়াদা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। বিএনপি সুশীল এক হয়েও আওয়ামী লীগকে ভোটে হারাতে পারে না। আওয়ামী লীগ এখন কাউকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগকে সরানো এত সহজ নয়। এ রকম ঘটনা বাংলাদেশের মাটিতে আমরা আর কোনো দিন হতে দেব না। যারা এই ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
জয় বলেন, বিএনপি যদি আমাদের মতো ১০ বছর ক্ষমতায় থাকতো তাহলে কী আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মী বেঁচে থাকতো? একটা নেতাকর্মীও বেঁচে থাকতো না। আপনারা কী মনে করেন, এই সুশীলরা যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলে। আমার চরিত্র যদি তারেক রহমানের হতো তাহলে কী আজকে বেগম জিয়া শুধু মাত্র জেলে থাকতো? না। এই কথা তাদের মনে রাখা উচিত। আওয়ামী লীগ বিএনপি না, আমাদের চরিত্র তাদের মতো না। আমরা খুনি না, আমরা সন্ত্রাসী না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বাধীনতার দল।
তিনি বলেন, সুশীলরা নিরপেক্ষতার কথা বলে। সন্ত্রাস, মানুষ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কী কোনো নিরপেক্ষতা হতে পারে? তাহলে তারা নিরপেক্ষতা বলতে কী বোঝাতে চাইছে? যারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে লজ্জা পায় তারা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়। তারা বলে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। কিসের থেকে রক্ষা করতে হবে? বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে আছে, একুশে আগস্টের মতো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে না, এখান থেকে রক্ষা করতে হবে?
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২১ আগস্টের পরিকল্পনাকারী ও হুকুমদাতা তাকের রহমানকে গ্রেফতার করে সামরিক বাহিনী। কিন্তু কারা তাকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন-এই ঐক্যফ্রন্টেরই লোকজন। এই মইনুল হোসেনই তারেক রহমানকে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। তখন থেকে তারা তারেক রহমানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বসে আসে। এই কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ও মইনুল হোসেন সেই এক/এগার থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে যড়যন্ত্রে যুক্ত। এটা আজকে প্রমাণিত হলো। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা দেওয়ারও ওয়াদা করেন জয়