স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না: মওদুদ
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন।
২৬ অক্টোবর, শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য মওদুদ আহমেদ।
বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে মওদুদ বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। কারণ দুর্নীতির মাধ্যমে তারা যে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে, সেগুলোকে রক্ষার জন্যই তারা এমনটা করছে।’
এ সময় জাতীয় ঐক্য ছাড়া এ সরকারকে সরানো সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ আহমেদ।
সরকারি দলের নেতাদের দুর্নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না। যারা আজ বড় বড় কথা বলেন, নিউ ইয়র্কে তাদের বড় বড় বাড়ি আছে। আমার কাছে তার ছবি আছে।’
বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে মওদুদ বলেন, ‘তারা জানেন নির্বাচনে হেরে যাবেন। সে জন্যই সরকার পরিকল্পিতভাবে চেষ্টা করছে বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসে। তারা ভুল করছেন। এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’
দাবি না মেনে যাতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন মওদুদ আহমদ।
‘আমার জীবনে কখনো শুনিনি কোনো ঘটনা ছাড়া মামলা হয়। আমরা দেখেছি আগে কোনো আসামির জামিনের জন্য আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে আদেশ দেওয়া হতো। এখন জামিন আবেদন শোনার জন্য তারিখ দেয় এক মাস পারে। আদেশের জন্য আবার তারিখ দেওয়া হয় আরও এক মাস পরে।’
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘শুক্রবার (আজ) বিচার বিভাগ পৃথক হয়নি। নিম্ন আদালতগুলো সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। বিচারকদের পদোন্নতি বদলিসহ অন্যান্য বিষয় দেখে আইন মন্ত্রণালয়। এ কারণেই তো সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।’