শত ভাগ সাক্ষরতার কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
ঢাকা: শত ভাগ সাক্ষরতা অর্জনের কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে কোনো জাতির উন্নয়নে সাক্ষরতার বিকল্প নেই। শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি, আর সাক্ষরজ্ঞান এর প্রাথমিক সোপান। সাক্ষরতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের দ্বার উন্মুক্ত হয়, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। তাই সাক্ষরতা অর্জন দেশের মানবসম্পদ তৈরির প্রথম ধাপ।’
বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা, সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশেষ করে রূপকল্প ২০২১, গ্লোবাল এসডিজিস ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সে লক্ষ্যে সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষক উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, শত ভাগ উপবৃত্তি কার্যক্রম, স্কুল ফিডিংসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’
‘এ ছাড়া বিদ্যালয়-বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে আলোকিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪।’
শত ভাগ সাক্ষরতা অর্জনের কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করার ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, এনজিওসমূহ জোরালো ভূমিকা পালন করবে।’
আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।