ভিয়েনায় শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ভিয়েনা: বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ছাত্র-যুব নেতা, ক্রীড়া, নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ আগস্ট রবিবার বিকেলে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার সিটি গেইট হলে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের উদ্দোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রুহি দাস সাহা এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অষ্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা বায়েজিদ মীর।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, লুৎফর রহমান সুজন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এমরান মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল ভাইকে কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এখনো চোখে ভাসে সেই দীর্ঘ দেহ, ঋজু। পুরু গোঁফ। চোখে কালো ফ্রেমের মোটা কাঁচের চশমা। পরিপাটি করে আঁচড়ানো চুল। ঠোঁটে প্রশ্রয়ের স্মিত হাসি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মন ও মননে আলোর শিখার পরশ বুলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। উচ্ছল তারুণ্যের ঈর্ষণীয় উজ্জ্বলতায় শেখ কামাল ছিলেন আমাদের আকর্ষণের কেন্দ্রে।
তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে মাত্র ২৬ বছর বয়সে নির্মোহ-নির্লোভ প্রাণময় শেখ কামালের রেখে যাওয়া উজ্জল ভূমিকায় আমরা উজ্জীবীত।
বায়েজিদ মীর বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ক্রীড়ার মাধ্যমে পরিচিত করানোই লক্ষ্য ছিল শেখ কামালের। সেই কারণেই স্বাধীনতার পর তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজান।
সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, শেখ কামালের বহু গুণাবলী ছিল যা তার সমসাময়িককালের কারো মধ্যে ছিল না।