১৫ই আগস্টের কুশীলবদের বিচার করতে হবে মন্তব্য করে আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্ব-পরিবারে হত্যাকাণ্ড ছিলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। সেই কারণে যারা ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের বিচার করতে হবে এবং জাতীর সামনে তাদের মুখোশ উম্মোচন করতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা জড়িত ছিলো এখনি সময় তাদের মুখোশ উন্মোচন করার। অন্যথায় একশ বছর পরের প্রজন্ম জানতে পারবেনা এই পৈশাচিক হত্যাকান্ডের কুশীলবদের কিংবা কারা এই হত্যাকান্ডের পটভূমি রচনা করেছিল। তাই এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে যারা যুক্ত ছিলো জাতির সামনে তাদের মুখোশ উম্মোচন করতে হবে এবং জিয়াউর রহমানসহ এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের কুশীলব যারা বেঁচে আছে তাদেরকে দেশে এনে বিচার করতে হবে।
সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কখনোই ভাবেনি তাদের এই হত্যাকান্ডের বিচার হবে। তারা কখনো ভাবতে পারেনি বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিচার করবে এবং ফাঁসির রশিতে তাদের ঝুলতে হবে। সেই কারণে তারা দম্ভ করে বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছিল এবং হত্যাকারিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের কৃতিত্ব নেওয়ারও প্রতিযোগিতা ছিলো। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে নাই। যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শুরু হয় তখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির অনেকেই ভাবতে পারেনি এই বিচার সম্পন্ন হবে এবং রায় কার্যকর হবে। শুধু বিচার হয়নি, বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে এবং যারা এখনো পালিয়ে আছে ইনশাআল্লাহ তাদেরকেও দেশে এনে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং কোন অজুহাত পেলেই বাতাস দেওয়ার চেষ্টা করে। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এর বক্তব্য এটা তার নিজস্ব উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই বক্তব্যের সাথে আমরা ও আমাদের দল কোনভাবেই একমত নই। তবে তাকে ধন্যবাদ তিনি তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ওমর বিন আজিজ তামীমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রুহুল আমিন রুহুল, আওয়ামীলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ফজলুল হক, ইসমত কাদির গামা, আরব আমিরাত আওয়ামীলীগের সভাপতি আল মামুন সরকার, অরুন সরকার রানা প্রমুখ।