এই ডায়েটে ব্যায়াম ছাড়াই ঝরবে মেদ
চা-কফির নেশায় মেটাবলিক রেট কমে ওজন বাড়ে বলে অনেকেই জানেন। তার ওপর যদি এর সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ হয় তাহলে মেদ হওয়ার ষোলো আনাই পূর্ণ হয়। তবে এবার মেদ কমানোর ওষুধ হিসেবে কফিকে চিহ্নিত করছেন ডায়েটেশিয়ানরা। কফির সঙ্গে কিছু আনুষাঙ্গিক খাবারের সৌজন্যে এবার ঝরবে মেদ।
পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘কফিতে যে সব অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে, বিশেষ করে পলিফেনল, তার প্রভাবে শরীরে প্রদাহের প্রবণতা কমে। কমে রোগের আশঙ্কা। কাজেই দিনে ৩–৪ কাপ খেলে (৭২০–৯০০ মিলি), ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভার ক্যানসার ও পার্কিনসন ডিজিজের আশঙ্কা কমে যায়। বয়সের প্রভাব পড়ে অনেক ধীরে। কমে বাড়তি ওজন।’’
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুসারে, এই ডায়েটে পরিশ্রমও কম। দিনে কম করে তিন কাপ বা ৭২০ মিলি কফি খান। হালকা রোস্টেড কফি বিন ঘরে গুঁড়ো করে ফিল্টার করা পানিতে বানিয়ে নিন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি পাবেন। তবে এর সঙ্গে একেবারেই দুধ–চিনি–ক্রিম মিশিয়ে ক্যালোরি বাড়াবেন না। কফির পাশাপাশি খান ১৫০০ ক্যালোরি খাবার। ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে ১৫০০ ক্যালোরির চেয়ে বেশি খেলে কিন্তু ওজন কমবে না।
এদিকে কফি ওজন কমাতে পারে কি না তা নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, এখন যা খাচ্ছেন তার চেয়ে দ্বিগুণ কফি খেলে ওজন, বিএমআই (ওজনের সূচক) ও চর্বি প্রায় ১৭–২৮ শতাংশ কমে যাবে। খাবার খাওয়ার আগে খেলে কম খাবারে পেট ভরবে। আর ব্যায়ামের আগে খেলে দ্বিগুণ এনার্জি নিয়ে ব্যায়াম করা যাবে। ফলে ক্যালোরি ও ফ্যাট বেশি ঝড়ে যাবে। এছাড়া ব্যায়ামের পর খেলে চর্বি ঝড়ার হার আরও বাড়ে।
তবে অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত কফি খাওয়া যাবে না। ভুল হলে খিদে–ঘুম কমে যাওয়া থেকে অনিদ্রা, মাথা ব্যাথা, রক্তচাপ বাড়ার সমস্যা আসতে পারে। হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে, গ্রাস করতে পারে অবসাদ৷ দেখা দিতে পারে খিটখিটে মেজাজ, বুক ধড়ফড় করতে পারে৷ গ্যাস–অম্বলে কাবু হতে পারেন। ঘুম না আসতে পারে। এমনকি ওজনও বাড়তে পারে। অতএব কফি খান, কিন্ত মাত্রা ছাড়িয়ে নয়৷
সূত্র : আনন্দবাজার