অ্যাভোকাডোর বীজেও রয়েছে প্রচুর উপকারিতা
অ্যাভোকাডো সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলের একটি। প্রচুর স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য সুস্বাদু ও মাখন সদৃশ ফলটি বিশ্বের ‘সুপারফুড’-এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। উজ্জ্বল সবুজ ফলটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। সৌন্দর্য চর্চায়ও নানাভাবে এটি ব্যবহার করা হয়।
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যাভাকাডো বীজেও রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা, যা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়।
পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির (পেন স্টেট) গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যাভাকাডো বীজে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী উপাদান। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অ্যাভোকাডো বীজের নির্যাস বের করে তাতে যে প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছে তা পরীক্ষা করে খাবারের প্রাকৃতিক রং হিসেবে বিক্রি করবেন।
গবেষণার এই ফল অ্যাডভান্সেস ইন ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা নিয়ে আলোচনায় লেখক বলেছেন, ‘ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং বাতসহ অনেক রোগ যা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে হয় তা উপশমে ভূমিকা রাখে অ্যাভোকাডো বীজ। প্রদাহ বিরোধী উপাদান থাকায় এই বীজ এথনোবোটানিকাল-এ ব্যবহৃত হয়েছে। গবেষকরা তাঁদের তত্ত্বকে প্রমাণ করতে সক্ষম হলে যৌগটি হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
গবেষণায় লেখকরা বলেছেন, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় আভাকাডো বীজ প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তারা লিখেছেন, ‘অ্যাজেটেক ও মায়া সংস্কৃতির ইথনো-ফার্মাকোলজিকাল গবেষণায় দেখা গেছে ছত্রাক ও পরজীবী সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, প্রদাহ এবং পাকস্থলি ও অন্ত্রের অনিয়মের চিকিৎসায় অ্যাভাকাডো বীজের রস ব্যবহৃত হতো।
সূত্র : এনডিটিভি