বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে কোরিয়ান শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্ণাঢ্য আয়োজন

329

সিউল: ১৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে প্রায় অর্ধ-শতাধিক কোরিয়ান শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দমুখর পরিবেশে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ পালন করে । অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো কোরিয়ার নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পরিচিত করে তোলা । এই অনুষ্ঠানে কোরিয়ায়ান প্রতিষ্ঠান হানিখোয়ান মিউজিয়াম এবং হিউ ও’ব্রায়ান ইয়ুথের শিশু-কিশোররা ছাড়াও বাংলাদেশী শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করে ।

বর্ণাঢ্য এই আনন্দঘন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করে । কর্মসূচির মধ্যে ছিল—বাংলাদেশী ও কোরিয়ান শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী (The Unfinished Memoirs) থেকে পাঠ, বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা । রঙ-বেরঙের বেলুন আর বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় দূতাবাসের হলরুম । উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয় । এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয় ।

বাণী পাঠের পর বাংলাদেশী ও কোরিয়ান শিশুরা The Unfinished Memoirs থেকে অতিথিদের পাঠ করে শোনায় । এরপর বক্তৃতায় কোরিয়ান শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানায় । অন্যদিকে কুইজ অনুষ্ঠানেও তাদের ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ । প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মধ্য দিয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানান দিক ও বর্তমান বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারে । একইসাথে বঙ্গবন্ধুর পোট্রেটে বিভিন্ন রঙের আঁচড় দিয়ে শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে।

এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা বই পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন । এছাড়া তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনীত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র বিতরণ করেন যারা বাংলাদেশকে কোরিয়ানদের কাছে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে ।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন । তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে, বাঙালী জাতির স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তিনি উপস্থিত শিশুদের বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আলোকিত মানুষ হবার জন্য উদ্ধুদ্ধ করেন ।

অনুষ্ঠানের সবশেষ পরিবেশনা ছিল শিশু-কিশোরদের গান-নাচ-কবিতায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব । পরিশেষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.