অর্থনীতি ডেস্ক : কাস্টমস নিলাম থেকে অনেকেই রিকন্ডিশনড্ গাড়ি কেনার আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন। বলাবাহুল্য, নিলামের উদ্দেশ্য রাজস্ব আদায় বা বৃদ্ধি নয় বরং পোর্টের গুদাম বা জায়গা খালি করা। নিলামে আপনি অংশ নিতে হলে কেবল একটা আয়কর সনদ থাকতে হবে। এটা এআইটি জমা দেয়ার জন্য ও পরে গাড়ি রেজিস্ট্রশনের জন্য এমনিতেই লাগবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলামে জাতীয় পরিচয়পত্রও লাগে। এবার আসুন জেনে নিই কীভাবে কিনবেন কাস্টমস নিলামের গাড়ি।
যে কাস্টম হাউস বা স্টেশন থেকে থেকে নিলামে গাড়ি বা পণ্য কিনবেন সেখানকার ক্যাটালগ (লটভিত্তিক গাড়ির তালিকা) কিনবেন। সংযুক্তিতে ২৫৬টির গাড়ির ক্যাটালগ রয়েছে। এটা সরকারি নিলামকারীর কাছে থাকে। সব কাস্টমস অফিসে একজন নিলামকারী থাকেন। ক্যাটালগের দাম ৫০-১০০ টাকা হতে পারে। আপনাকে নিলামে অংশ নেয়ার সরকারি নিলামকারীর কাছ থেকে শিডিউল কিনতে হবে (প্রতি লটের জন্য একটা শিডিউল কিনতে হয়)। তিনটা গাড়ির জন্য বিড করলে তিনটা শিডিউল কিনতে হবে।
শিডিউলে বর্ণিত ফিল্ডের তথ্যগুলো স্পষ্ট করে বাংলায় লিখতে হবে। যে লটটি কিনতে চান, সেটি ক্যাটালগের কত নম্বর সেটা পণ্যের বর্ননাসহ উল্লেখ করতে হবে। আপনি যে লটটি যত মূল্যে বিড করতে চান সে কোটেশন মূল্যের উপর ১০% হারে জামানত পেঅর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট শিডিউলের সাথে জমা দিতে হবে। শিডিউলে পণ্যের মূল্য অংকে ও কথায় স্পষ্টাক্ষরে লিখতে হবে। বিডের সাথে অবশ্যই আয়কর সনদপত্র জমা দেবেন। জাতীয় পরিচয়পত্রও (ঐচ্ছিক) জমা দিতে পারেন। কাস্টম হাউজগুলোতে সচরাচর প্রতি মাসে একবার নিলাম করা হয় (পচনশীল নাহলে, গাড়ি পচনশীল নয়)।
মনে রাখতে হবে, আপনাকে শিডিউল জমার নির্ধারিত দিনক্ষণে বিড বা দর প্রস্তাব জমা দিতে হবে। দিনক্ষণ শিডিউল কেনার সময় নিলামকারীর কাছ থেকে জানতে পারবেন। আপনি আপনার পছন্দের লটটির সর্বোচ্চ দরদাতা হলে এবং আপনার দেয়া দর প্রথম নিলামে এই গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্যের (সাধারণত ডিউটি পেইড ভ্যালু) ৬০% হলে, দ্বিতীয় নিলামের দর প্রথম নিলাম থেকে বেশি হলে, তৃতীয় নিলামে যা-ই দর উঠুক ওই মূল্যে বিক্রি করে দেয়া হবে।
তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বা কারো কথায় পড়ে নিলামে দর দিয়ে ঠকবেন না বা পছন্দের জিনিসটা হারাবেন না। অবশ্যই গাড়ি বা পণ্যটি নিজে দেখবেন। গুনগত মান বিচার করবেন। বাজার দর আন্দাজ করবেন। আপনি যে নিলামে গাড়িটি বিড করছেন সেটি ওই গাড়ির প্রথম নিলাম না হলে আগের নিলামে এর দর কখন কত পড়েছে খোঁজ নেবেন।
পারিপার্শ্বিক দিকগুলো বিবেচনায় এনে আপনার নিজের আন্দাজ খাটিয়ে দর প্রস্তাব করবেন। সিপি দরকার বা শর্তযুক্ত গাড়ির জন্য বিড না করাই ভালো। সিপি নিতে গিয়ে ঝামেলা পোহাতে আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। আপনি যেহেতু ব্যবসা করবেন না, আপনার দেয়া দর উতরে যেতে পারে। পেয়ে যেতে পারেন আপনার পছন্দের গাড়িটি।
নিলাম করতে গিয়ে কোনও জিজ্ঞাসা থাকলে সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউজ বা স্টেশনের নিলাম সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে পারেন।কেউ ভয় দেখালে বা অভিযোগ থাকলে ওই হাউজ বা স্টেশনের কমিশনার বা আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা আছি আপনার ভ্যাট কাস্টমসের যেকোন সহায়তায়।
সূত্র : উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম