চাকুরীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার দাবি রওশন এরশাদের

274

ঢাকা: সংসদেও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ চাকুরীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার দাবি জানিয়ে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখতে হবে। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তবে কোটা তুলে দিলে বিশেষ কোনভাবে তাদের সুবিধা দিতে হবে। তাদের আত্মাত্যাগের বিনিময়েই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সুতরাং তাদের পরিবারের জন্য ভাবতে হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনি ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।  রওশন এরশাদ এসময় আরও বলেন, কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এখনও অনেক শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছে। এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে হবে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাংচুর হয়েছে আমি তার ধিক্কার জানাই।

বিরোধী দলীয় নেত্রী চাকুরীতে বয়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা বেকার হয়ে আছে। তারা বয়সের কারণে চাকুরীতে যোগ দিতে পারছে না। বিশ্বের কয়েকটি দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকুরীতে যোগদান করা যায়। পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০। এছাড়াও অন্যন্যা দেশে চাকরীতে বয়সীমার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, চাকরি বয়স ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়  সেসব দেশে চাকরির বয়স সিমা ৩৫/ ৪০ বছর চাকরি করেছে। আমাদেরও   চাকরির বয়স সীমা ৩৫/ আমাদেরও   চাকরির বয়স সীমা ৩৫/৪০ বছর করা উচিৎ।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হলে শিক্ষকরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। তারা সঠিকভাবে পাঠদান করতে পারে। অভাব অনটন থাকলে তারা কিভাবে শিক্ষাদান করবে। তাই প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংসদ সফল এবং কার্যকর সংসদ। এত সুন্দর ভাবে  সংসদের কার্যক্রম পরিচলানা হয়েছে যা অতিতে কখনও হয়নি। এই অধিবেশনে ১৮ টি বিলপাস। এটিই তার প্রমান।  এসব বিলে  বিরোধীদল অনেক সংশোধন এনেছে তা  গ্রহন হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে হয়নি।  প্রধান মন্ত্রীকে সংসদে সর্বক্ষনিক পেয়েছি। অতিতে কোন প্রধান মন্ত্রী সংসদে সময় দেননি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.