চলে গেলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী

485

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: চলে গেলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। বৃহস্পতিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

গত ১১ জুলাই থেকে তিনি ফুসফুস, কিডনি ও মূত্রনালীর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখতে হয়।  ২০০৯ সাল থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিশক্তিও লোপ পেয়েছিল।

তিনি অকৃতদার। তাঁর এক পালিতা কন্যা বর্তমান।  ১৯৯৬ সালের ১৬ মে দেশের দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এই বিজেপি নেতা।

কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রথম বারের সরকার স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৩ দিন। মাত্র ১টি আসনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় তিনি পদত্যাগ করেন।

এর পরে ১৯৯৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০০৪ সালের মে মাস পর্যন্ত তিনি এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

সুবক্তা বাজপেয়ী ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই ভিক্টোরিয়া কলেজ ও পরে কানপুরের ডিএভি কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতোকত্তর বাজপেয়ী ভারতীয় জনসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৫৭ সালে তিনি প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হন। এর পর ১০ বার তিনি লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬২ ও ১৯৮৬ সালে তিনি রাজ্যসভাতেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৭ থেকে দু’বছর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন।

১৯৮০ সালে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি লোকসভার সাংসদ ছিলেন। শেষবার তিনি উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন।   তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ পান।

প্রসঙ্গত রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্যের জগতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। হিন্দি ও উর্দু কবিতায় তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। এই দুই ধারায় নিজের সাবলীল অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি উক্তি করেছিলেন: ‘‘কবিতা লেখা আর রাজনীতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। একজন কবি রাজনীতিতে এলে জনগণ এই ভেবে আশ্বস্ত হয় যে, এই নেতার হাত অন্তত রক্তে লাল হবে না। ’’

Leave A Reply

Your email address will not be published.